৮ম সংখ্যা, জানুয়ারি ২০১৫
চলচ্চিত্র পাড়াতেও মার্কেজের একটি বাংলো ছিলো
My relation with it [cinema] is like that of a couple who can’t live separated, but who can’t live together either.1 —Gabriel GarciaMarquez নিজের স্বপ্নের ওপর ভর করে মানুষ সৃষ্টিশীল সাধনা করে নিরন্তর। স্বপ্ন দেখার সাহস সবার না থাকলেও এই স্বপ্নই মানুষকে বড়ো করে তোলে। তবে সফলতা যে সবার আসে, তা নয়। কিন্তু এটা ঠিক, স্বপ্ন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে
খেই হারিয়ে খুঁজে চলি তোমার দেখা নাই
প্রেক্ষাগৃহ চিত্র—১ রাজশাহীর ‘উপহার সিনেমা’য়১ রাজত্ব মুক্তি পায় ৭ মার্চ। ১১ মার্চ ২০১৪ রাত ৯—১২টার শো দেখতে প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছাই একটু আগেই। ছয়—নয়টার শো শেষে দর্শক বেরুচ্ছেন। এই শো-এ দর্শক বেশ ভালোই ছিলো; বেশ কয়েকজন বিভিন্ন বয়সের নারীকেও দেখা গেলো। তবে তরুণদের উপস্থিতি
সওদাগর অনন্তের ‘দ্য গোল্ডেন বাংলা প্রজেক্ট’-এ মোস্ট ওয়েলকাম
শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আকাশচারী বিহঙ্গের অবাধ বিচরণে মুগ্ধ হয়েছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন বিহঙ্গের ন্যায় ডানা ঝাপটিয়ে বিশালতার স্বাদ আস্বাদনের। তাইতো শিল্পীর ক্যানভাসে চিত্রিত হয়েছিলো বিহঙ্গ স্বরুপ আকাশযানের নকশা। সেটিই ছিলো উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রচেষ্টার
সালমান শাহ : ভাটির আগে উজানের শেষ ঢেউ
কোনো বিষয়ে রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যেই একটি বৈশিষ্ট্য আছে। নিজের বোঝাপড়ায় যা ‘সঠিক-সুন্দর-সত্য’, তা-ই চরম। অতএব এই চরমের সঙ্গে দ্বিমত যাদের, তাদের বোঝাপড়ায় ভিন্নতা আছে। কিন্তু ব্যক্তি তার পছন্দকে চরম বলতে পারবে কি না, সে ‘কুতর্কের’ দোকান ফকির লালন যেমন আর
বাংলা চলচ্চিত্রের রঙ-রূপ দর্শন
নবাব পরিবারের ‘ফটোগ্রাফিক সোসাইটি’র তরুণরা শখের বশে নির্মাণ করে ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র সুকুমারী (১৯২৭-২৮)। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তৎকালীন বাংলার মুসলিমদের অধিকার হরণ করা হয় এই বলে যে, চলচ্চিত্র-নির্মাণ হিন্দুদের কাজ। তাই কোনো মুসলিমকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হলে গ্রহণ
ধ্বংস-রক্ত-বারুদ আর লাশের মধ্যে ফোটা এক গোলাপ ‘ফজ্র’
১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি; শোষণ, অরাজকতা আর পুঁজিবাদী-স্বৈরাচারী শাহ শাসকের দাসত্ব অস্বীকার করে ইরানি জনগণ জেগে ওঠে। তারা গ্রহণ করে নতুন এক শাসন কাঠামো, যেখানে তাদের প্রাণের উচ্ছ্বাস ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেয় সব গ্লানি। কিন্তু মাথা তুলে দাঁড়ানোর আগেই ইরাকের যুদ্ধবিমান
কাফা, মতাদর্শিক দ্বন্দ্বে বিভক্ত মানুষের স্বপ্ন-কারখানা
কোরিয়ার নিজস্ব চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিলো চলচ্চিত্রের জন্মের তিন দশকের মাথায়; যখন এটি শিল্প (art) হিসেবে স্বীকৃতির পথে। ১৯১৯ সালে চলচ্চিত্রনির্মাতা কিম দু সান নির্মাণ করেছিলেন অ্যা ডিটেক্টিভস গ্রেট পেইন। নির্বাক এ চলচ্চিত্র দিয়ে যাত্রা শুরুর পর কোরিয়ার চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্রনির্মাতা : অ্যালান ক্রসল্যান্ড জন্ম : ১০ আগস্ট ১৮৯৪, নিউইয়র্ক চলচ্চিত্রেঅবদান : প্রথম সার্থক সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ মৃত্যু
‘যুদ্ধের সময় যিশু-দেবদূত সবাই সামরিক বাহিনীর প্রধানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়’
১৯৫০ সালের কথা। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ইতালির ‘এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম স্কুল’-এর ছাত্র; স্বপ্ন, নির্মাতা হবেন। যদিও পরে নির্মাতা না হয়ে লেখক হয়েছিলেন মার্কেজ। তার পরও চলচ্চিত্র তাকে ছাড়েনি, বন্ধুদের নিয়ে ১৯৫৪ সালে লা লেনগুস্তা আউল নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ
উত্তমকুমার বললেন, ‘কুঞ্জ দা, ইনি ওই বাংলার কবি, তুমি এর জন্যে পাঞ্জাবি কেটে দেবে তো?’
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার মুখোমুখি পরিচয়টা হয় ১৯৬৩ সালের জানুয়ারি মাসে; কলকাতায় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে মহানগর সিনেমার সেটে—সে কথায় একটু পরে আসবক্ষণ। তার আগে আমার ব্যক্তিগত জীবনে সিনেমা-সংসর্গ নিয়ে কিছু প্রাথমিক কথা জানানো উচিত। আমার জন্মস্থান এই বাংলায় মানে বাগেরহাটে;
একথা আর নতুন করে বলবার দরকার নেই সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র দুটি আলাদা শিল্প। কিন্তু কতখানি আলাদা, দুই ভাইয়ের মতন? দুই বন্ধু বা প্রতিবেশীর মতন? অথবা দুই প্রতিযোগী? চলচ্চিত্র প্রথমে এসেছিল শিশুর মতন সাহিত্যের কোলে চেপে। শুধু নড়াচড়া কিংবা ছোট ছোট স্ক্রিপ্টের বদলে যখনই
সংখ্যা ৬-এ ‘ম্যাজিক আড্ডা’ বিভাগে আমরা প্রয়াত নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মরণে পশ্চিমবঙ্গের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত আড্ডার ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছিলাম। আমরা মূলত সেই আড্ডার অডিও-ভিজ্যুয়াল আলোচনার একটি লিখিত রূপ দিয়ে পাঠককে ভিন্ন স্বাদ দিতে চেয়েছি। আমাদের
প্রতিদানের পুরস্কার নোবেল আর অস্কার চে গুয়েভারা। সারাবিশ্বের মানুষের শান্তির জন্য, সমতার জন্য লড়াই করেছেন আমৃত্যু। আর এই ‘অপকর্মের’ জন্য ‘বিশ্ব কর্তৃপক্ষ’ তার শরীরকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলো ‘মাত্র’ নয়টি গুলি করে। সঙ্গে কেটে নিয়েছিলো দুটি হাত। তারিখ ৯ অক্টোবর ১৯৬৭। বারাক
বৃহন্নলা : বাবা-মুসোলিনির দেশে একটি চলচ্চিত্রের মৃত্যু ও নির্মাতা-মুরাদের বুজরুকি
১. পত্রিকায় লেখা পড়েই মূলত আগ্রহী হয়েছিলাম বৃহন্নলা দেখতে। বৃহন্নলা মুক্তি পায় ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪। রাজশাহীর উপহার ‘সিনেমা’য় বৃহন্নলা প্রথম দেখার সুযোগ হয় ২২ সেপ্টেম্বর। প্রথম দেখার সুযোগ—এ কারণে বলছি যে, এর পরও বৃহন্নলা আরো দুইবার দেখি একই প্রেক্ষাগৃহে, একই
‘সে আর লালন একখানে রয়, তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে’
১৯৪৬ সালে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক শিশু। বাবা-মা তার নাম রাখেন সুবীর ব্যানার্জি। এর ঠিক নয় বছর পর মুক্তি পায় সত্যজিতের পথের পাঁচালী (২৬ আগস্ট ১৯৫৫)। ভারতের চলচ্চিত্রিক ইতিহাসের অনবদ্য এক চলচ্চিত্র। পথের পাঁচালী শুরুর ২০ মিনিটের মাথায় পর্দায় ছেঁড়া
মুক্তধারায় রাবীন্দ্রিক মোড়কে রাষ্ট্র-বন্দনা
নাহ্, তার আর সহ্য হলো না। সিদ্ধান্তটা সে নিয়েই ফেললো শেষ পর্যন্ত; খুন করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তাদের কফিতে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে ফেলা হলো। তারপর ছুরি ও বঁটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চললো উপর্যুপরি আঘাত। আঘাতে শ্বাসনালি কেটে গেলো, ফিনকি দিয়ে
অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি থেকে ঋত্বিক বিপ্লবের দুই ধারা
বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় সাতশো কোটি! বাড়তে বাড়তে এ সংখ্যা হয়তো একসময় হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু মানুষের সংখ্যা? এটা কি বাড়ছে? নাকি কমতে কমতে শূন্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে! যদি শূন্যের দিকেই ধাবিত হয়, তাহলে আমাদের অবস্থান কোন্দিকে? আচ্ছা, ধরে নিলাম আমরাও মানুষ;
দ্য রিভার : দৃকমাধ্যমে রেঁনোয়া’র প্রাচ্যনির্মাণ
প্রায় দুশো বছর ব্রিটিশদের শাসন-শোষণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো ভারতবর্ষের মানুষ। নানারকম দমনপীড়নের শিকার এই মানুষগুলোর ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে জমেছিলো ক্ষোভ; সেই সঙ্গে উন্মুখ হয়ে ছিলো মুক্তির অপেক্ষায়। মুক্তিকামী এই মানুষদের এক কাতারে যিনি এনেছিলেন তার কথা হয়তো অনেকেরই
হুদ্ম্যারা সাত ভাই কারো চকোত পানি নাই হুদ্ম্যা নিলো নাঙ্গল জোঙ্গাল হুদ্মী নিলো মই আদ ঘাটাত যায়য়া হুদ্ম্যা চেতর হয়া পইল১ ছোটোবেলায় কাদা মাটির হুদ্ম্যা পুতুল বানিয়ে, সেই পুতুল নিয়ে সবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ‘হুদ্ম্যা দেও’-এর গান হতো; তারপর সবাই মিলে সেটা
‘চরকায় করে গুনগুনাগুন নাটাই ধরে টানা’
যেই মানুষ ভাবলো বৃষ্টি হ। আন্তরিকভাবেই ভাবল বৃষ্টি হ, তাতে বৃষ্টি হতে বাধ্য। এমনকি শালিক পাখিও যদি ভাবে বৃষ্টি হ, তাতে বৃষ্টি হতে বাধ্য। এমন কি পিঁপড়েও যদি ভাবে বৃষ্টি হ, তাহলে হতে বাধ্য। ... একটা বিড়াল যদি ঘণ্টাখানেক ধরে ভাবে ‘ভূমিকম্প হ, পৃথিবী কেঁপে ওঠ’
‘সময়ের প্রয়োজনে’ অনেক নতুন কিছুর সঙ্গে মানুষ পরিচিত হয়, খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে এবং একসময় অভ্যস্ত হয়ে যায়। এই সব বিষয় নিয়ে তখন কিংবা আরো পরে একটি কাহিনি তৈরি হয়। হতে পারে সেটা মুখে মুখে প্রচলিত কিংবা অন্যভাবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কাহিনি একটা মিথেরও জন্ম দেয়। প্রত্যেকটা
বিভ্রমের বিশালতায় ‘সত্য’ খুঁজে পাওয়া দায়
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে গৃহকর্তা হিসেবে অতিথি আপ্যায়নের অভিজ্ঞতা সবারই থাকবার কথা। কারা কারা বা কতো জনকে নিমন্ত্রণ করবেন তা নির্ধারণ করলেন; খাবারের তালিকা তৈরি করলেন; সেই অনুযায়ী বাজারও করা হলো। এবার রাঁধুনি রান্না করলেন। খাবারের সুস্বাদে অতিথিরা রীতিমতো
পুঁজির বানে ভাটির টানে এ কেমন বলিউড!
প্রসঙ্গ বলিউড বলিউড; বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারতের প্রধান চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। ফি বছর এখানে গড়ে একশো ৫০টির উপর চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়। বাজার মূল্যে যেগুলোর দর হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়ে যায়। জয়জয়কারের এই গল্প মেলে ধরতে গণমাধ্যম যারপরনাই ব্যস্ত। আমরা দেখি, প্রত্যেক
বলিউডের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তালিকায় থ্রি ইডিয়টস্-এর অবস্থান তৃতীয়। এর ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৪০টি পুরস্কার। এখানেই শেষ নয়, ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ-এর (আই এম ডি বি) শ্রেষ্ঠ দুইশো ৫০টি চলচ্চিত্রের তালিকায় এর অবস্থান
জনসংস্কৃতি এবং বন্ড-এর বিবর্তনবাদ
ইংল্যান্ডের ল্যাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের প্রফেসর জেমস চ্যাপম্যান-এর মতে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ জেমস বন্ড-এর যেকোনো একটি চলচ্চিত্র কমপক্ষে একবার হলেও দেখেছে। একই সঙ্গে বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজকে দীর্ঘ সময় ধরে সফলভাবে চলমান এবং সম্ভবত
বেশ আগের কথা, যতোদূর মনে পড়ছে গত শতাব্দীর ৬০ দশকের মাঝামাঝি হবে। ট্রামে চড়ে কলেজে যাচ্ছিলাম। পিছনের আসনে বসা এক যাত্রী হঠাৎ-ই আমার নজর কাড়লো। হাতে খোলা বই, মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন আর নিজ মনে হাসছেন। একসময় আচমকা তা অট্টহাসিতে পরিণত হলো। আমি আড়চোখে তাকাচ্ছিলাম তার
বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত; ভাব-ভাষান্তর : তাকিয়া সুলতানা ও জাহাঙ্গীর আলম
ঢাকাই চলচ্চিত্রের নির্মাতা-দর্শক রাতে চোখ বেঁধে পান্তা খায়
শিল্প সৃষ্টিতে শিল্পীকে সৎ থাকতে হয়। এটা নিছক কোনো বাক্য নয়। ভণ্ডামি, চুরি, দায়সারা, মায়া-মমতাহীন কর্ম কোনো শিল্পের মধ্যে পড়ে না। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ যখন সূচকের সর্বনিম্ন দাগ থেকেও অনেক নীচে নেমে যায়, তখন তাদের দ্বারা শিল্প কেনো, নৈমিত্তিক কর্মকাণ্ডও স্বাভাবিক
‘চরকায় করে গুনগুনাগুন নাটাই ধরে টানা’
যেই মানুষ ভাবলো বৃষ্টি হ। আন্তরিকভাবেই ভাবল বৃষ্টি হ, তাতে বৃষ্টি হতে বাধ্য। এমনকি শালিক পাখিও যদি ভাবে বৃষ্টি হ, তাতে বৃষ্টি হতে বাধ্য। এমন কি পিঁপড়েও যদি ভাবে বৃষ্টি হ, তাহলে হতে বাধ্য। ... একটা বিড়াল যদি ঘণ্টাখানেক ধরে ভাবে ‘ভূমিকম্প হ, পৃথিবী কেঁপে ওঠ’ তাহলে
‘সময়ের প্রয়োজনে’ অনেক নতুন কিছুর সঙ্গে মানুষ পরিচিত হয়, খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে এবং একসময় অভ্যস্ত হয়ে যায়। এই সব বিষয় নিয়ে তখন কিংবা আরো পরে একটি কাহিনি তৈরি হয়। হতে পারে সেটা মুখে মুখে প্রচলিত কিংবা অন্যভাবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কাহিনি একটা মিথেরও জন্ম দেয়। প্রত্যেকটা কাহিনির
বিভ্রমের বিশালতায় ‘সত্য’ খুঁজে পাওয়া দায়
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে গৃহকর্তা হিসেবে অতিথি আপ্যায়নের অভিজ্ঞতা সবারই থাকবার কথা। কারা কারা বা কতো জনকে নিমন্ত্রণ করবেন তা নির্ধারণ করলেন; খাবারের তালিকা তৈরি করলেন; সেই অনুযায়ী বাজারও করা হলো। এবার রাঁধুনি রান্না করলেন। খাবারের সুস্বাদে অতিথিরা রীতিমতো