৫ম সংখ্যা, জুলাই ২০১৩
মৃগয়া ও ওকা ওড়ি কথা : মৃণালের ছবিতে প্রতিবাদের দুই রূপ
‘...আমি কেতাবি লোক নই,অ্যাথেন্স-নগরের নিকটবর্তী উদ্যানস্থ প্লেটোর বিদ্যালয় আমার কাছে স্বপ্নমাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় যে-গবেষণার স্বীকৃতি দিয়ে থাকে, সে অর্থে গবেষকও আমি নই,সদ্বংশজাত পাণ্ডিত্যের অহমিকা তো আমার থাকার কথা নয়,খোলাখুলি একটা কথা বলি,সংরক্ষিত দলিল
ফারুকীর টেলিভিশন : অজস্র ছবির বিভিন্ন গল্প
‘Image does not illustrate text, it is the text which amplifies the connotative potential of the image.’১ ‘The reader is thus free to enter a text from any direction; there is no correct route.’২ কোনো এক গ্রাম,যমুনার দীর্ঘ কূল ঘেষে দাঁড়ায়ে আছে। এই পাড় আর ওই পাড়ের মাঝখানে কয়েকটা চর।সেখানেও মানুষ বাস করে। তাদেরও চোখ আছে। তারাও তাকায়,খেয়াল করে। সেই চর থেকে এক বালিকা
ভিত্তোরিও,‘বাস্তবতা’ দিয়ে পরিবর্তন শুরুর নায়ক
পুরো নাম : ভিত্তোরিও ডি সিকা জন্ম : ৭ জুলাই ১৯০১,সোরা,ইতালি চলচ্চিত্রে অবদান : নিওরিয়ালিজম ধারার পথিকৃৎ মৃত্যু : ১৩ নভেম্বর ১৯৭৪, নিউলি-সুর-সেইন, ইউস-ডি-সেইন, ফ্রান্স চলচ্চিত্র এমন একটি মাধ্যম যা বহুমাত্রিক শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। তাই এই মাধ্যমটিতে শিল্পের
মাতৃভাষায় চলচ্চিত্র পাঠের অনন্য পুস্তক
‘সিনেমা বানানো হয় না,সিনেমা বানানো কোনো অর্থ তৈরি করে না-একটা সিনেমা তৈরি হয়।ইটের পর ইট দিয়ে ঠিক বাড়ি তৈরির মতো।ঠিক সেভাবেই তুমি সিনেমা বানাবে,একটার পর একটা চিত্রগ্রহণ করে,কেটে।এটা তৈরি হয়,বানানো না।’১ ঋত্বিক ঘটকের বলা এ কথাগুলো চলচ্চিত্র তৈরির টেকনিক ও টেকনোলজি
সূচনার প্রারম্ভে আত্মতৃপ্তির উঁকিঝুঁকি
১. সমাজের একটি উপাদানের আরেকটি উপাদান সম্পর্কিত-জগতের এ সূত্র আমরা সবাই মোটামুটি মেনে চলি। আর এ সূত্রের অধীনেই অনেকগুলো উপাদানের সম্মুখ যাত্রায় একেক সময়ে এসে অন্তহীন গন্তব্যের এক-একটি পর্যায়ে পৌঁছা যায়। যে উপাদানগুলো এ যাত্রা থেকে ছিটকে পড়ে, চলার একপর্যায়ে
ভাষিক দূরত্বে বাড়ছে রিমেকের কদর
২০০৮ সালের কথা, চারিদিকে একটা চলচ্চিত্রের নাম খুব শুনছিলাম-গজনি (Ghajini)।শুনতে শুনতে খুব ইচ্ছা হলো, কী আছে চলচ্চিত্রটায় দেখিতো একবার; পেয়ে গেলাম এক বন্ধুর কাছে।ভালোই লাগলো সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্রটি। কিন্তু, নায়ক আমির খান ছাড়া অন্য দুটি প্রধান চরিত্র,
'সকালবেলা মাটি কাটতে যাই, রাত্রে আসার সময় টাকা নিয়ে চলে আসি'
‘যারা শহীদ হয়েছেন তারা বোধহয় বেঁচে গেছেন। কারণ আমরা যা দেখছি তা তো আর তাদের দেখতে হয়নি’-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমনই মূল্যায়ন রাইসুল ইসলাম আসাদের। ৭১-এ সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই মানুষটির মঞ্চ,বেতার,টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সরব উপস্থিতি ছিলো দীর্ঘসময়। সেই ১৯৭২ সালে মঞ্চে কাজ
‘সেখানে ছবি আঁকাটা বা মূর্তি বানানোটা যেমন জানতে হয়, সঙ্গে ফিল্মটাকেও বুঝতে হয়’
[চলচ্চিত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শিল্প-নির্দেশনায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাদেক আলী। রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি ও সমীর চন্দ-এর মতো বিখ্যাত শিল্প-নির্দেশকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন বলিউড ও টালিগঞ্জে। এখন কাজ করছেন স্বাধীনভাবে। চারশ’র বেশি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ
পটের গান : চলচ্চিত্র উদ্ভব-ইতিহাসের নিম্নবর্গীয় পাঠ
আমেরিকান উদ্ভিদবিজ্ঞানী বুর ব্যাংক-এর বাড়ির বাগানে কতোগুলো কাঁটা ছাড়া ক্যাকটাস ছিলো। বুর তার লেখা বই ‘দ্য লাইফ অব এন ইন্ডিয়ান ইয়োগি’তে বলছেন এভাবে,‘এই ক্যাকটাসগুলোতে মূলত কাঁটা ছিলো। আমি অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে এগুলোকে কাঁটাবিহীন তৈরি করেছি।’ বাগানে
উজ্জ্বল আঁধারের মাঝে কায়াহীন ছায়া নতুন চলচ্চিত্রের দিকে তাকায়া যা দেখি
‘ছবি শুরু হতে দেরী আছে।মামা চা কিনলেন।আমার জন্য দু’পয়সার বাদাম এবং চানাভাজা কেনা হলো।মামা বললেন,এখন না।ছবি শুরু হলে খাবে।আমি ছবির শুরুর জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।চারদিকে লোকজন,হৈ চৈ কোলাহল নেশার মত লাগছে।বুক ধক্ ধক্ করছে না জানি কি দেখবো।ছবি শুরুর
‘কর্তৃত্ব ও আনুগত্যশীলতার যৌনকরণই পর্নোগ্রাফি’
রবার্ট উইলিয়াম জেনসেন (Robert William Jensen), জন্ম ১৯৫৮ সালের ১৪ জুলাই আমেরিকার নর্থ ডাকোটায়। ১৯৮১ সালে বিএসসি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মুরহেডের মিনসেটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে সাংবাদিকতা ও লোকপ্রশাসনের ওপর স্নাতকোত্তর করেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৫ সালে।
‘এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম সেন্টার’ ফ্যাসিবাদের গর্ভেই যার জন্ম
১৯৪২ সালে ভিসকন্তি নির্মাণ করেন ওসেসিয়োনে (Ossessione)। বলা হয়,এটাই ইতালির নব্যবাস্তববাদ ধারার প্রথম ছবি।এই চলচ্চিত্র দেখে মুসোলিনি নাকি তীব্র রাগে চিৎকার করে বলেছিলেন,‘দিস ইজ নট ইতালি’। মুসোলিনির শাসনে এতোদিন চলচ্চিত্রে যে ‘সুস্থ দেহ, সুস্থ মন’-এর অধিকারী মানুষের
আধুনিক ‘রবীন্দ্র-প্যাকেজে’ ঋতুপর্ণের নৌকাডুবি
১. পৃথিবীর মায়া কিংবা বলা যায় ‘চলচ্চিত্রে’র মায়া ত্যাগ করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই চলে গেলেন ভুবনখ্যাত চিত্রপরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চলচ্চিত্রবোদ্ধার তালিকায় বোধহয় সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের পরের ঘরটিতে ঋতুপর্ণের নামই বসবে। চলচ্চিত্রে
কর্পোরেটিয় স্লোগানের কারিশমায় মাতাল জনগণ
১. ‘ভাষা কোনো অলৌকিক এশ্বরিক ব্যাপার নয়,একটি প্রযুক্তি বা হাতিয়ার মাত্র;আকাশের শব্দশক্তিকে ব্যবহার করবার হাতিয়ার। তাপশক্তি,বিদ্যুৎশক্তি প্রভৃতি শক্তিগুলোকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেমন নানারকম প্রযুক্তি বা হাতিয়ার করা হয়,এও অনেকটা সেরকম।’১ এখানে হাতিয়ার শব্দটির
৪৭-উত্তর সময়ে রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বের আবরণে ভারত ও পাকিস্তান-এই দুটি দেশ পৃথিবীতে কোন্ পরিচয়ে পরিচিত হবে তা কিন্তু ললাটের লিখন না;আমাদের পূর্বপুরুষরা পালাক্রমে দুটি বোমা লালন করে আসছিলো-প্রথমটি হিন্দু (সনাতন বৈদিক ধর্ম) আর দ্বিতীয়টি ইসলাম। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে
সালটা ১৯৯৯ কিংবা ২০০০ হবে।টেলিভিশনে রিমোট চাপতে চাপতে ভারতিয় কোনো এক বাংলা চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান মাঝখান থেকে দেখা শুরু করি। সাক্ষাৎকারগ্রহীতা এবং সাক্ষাৎকারদাতা কাউকেই আমি চিনি না। তবে সাক্ষাৎকারদাতার পরিশীলিত ভাষায় সুন্দর ও গুছিয়ে উত্তর করার
ককতো'র চলচ্চিত্র-গণতন্ত্রায়ণে কলম-কালির পরে এখন ‘খাতার’ খোঁজ
চলচ্চিত্রশিল্প প্যারাডাইমের কেন্দ্রে অবস্থান করে পরিচালক; যাকে ঘিরে শিল্পটি তার নিজস্ব স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। আর যদি টেকনোলজিকালি এই প্যারাডাইমকে দেখতে চাই তবে এর কেন্দ্রে রয়েছে গতি। এই গতি চলচ্চিত্রকে প্রাণ দান করে, দৃশ্যমান করে। আজ আমরা যে চলচ্চিত্র
আধিপত্যশীল চিনের আধিপত্যহীন চলচ্চিত্র
পৃথিবী যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে চারিদিকে ঘুরছে;ঠিক তেমনি,আজ এই সময়ে এসে বিশ্ব-অর্থনীতিও চিনকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপ-আমেরিকার মতো পরাশক্তি দেশগুলো যখন ভ্যাবাচেকা খায়,তখন চিন এই মন্দার মধ্যেও নিজের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে অসাধারণ
শিল্প মাধ্যম রূপে সিনেমার জনপ্রিয়তা এখন প্রশ্নাতীত। প্রেক্ষাগৃহ ছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন কেন্দ্রগুলো থেকে এর নিয়মিত প্রদর্শনী চলছে। ভিডিও ক্যাসেট একে একবারে ব্যক্তিগত ব্যবহারের সামগ্রী করে তুলেছে। আমাদের দেশে খুব অল্পদিন আগেও সিনেমা দেখাটা ছিলো অনেকটা
কান, চলচ্চিত্রের মানুষদের তীর্থস্থান
১৫০ বছর আগে জেলেদের মাছ ধরার এক আদর্শ জায়গা ছিলো এই গ্রাম। ১৯ শতকের মাঝামাঝি এক বৃটিশ পরিবার চিন্তা করলো ভূ-মধ্যসাগরের তীর ঘেঁষা এই জায়গাটি পর্যটন শিল্পের আদর্শ নগরে পরিণত হতে পারে। যেই কথা সেই কাজ, জেলেদের প্রিয় জায়গায় গড়ে উঠতে থাকলো পরিবেশবান্ধব এক নগরী, এখন অবশ্য