৪র্থ সংখ্যা, জানুয়ারি ২০১৩
‘সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে : চোখের দেখায় তা তো মিথ্যা নয়!’
যা দেখি তা তো মিথ্যা নয়। কারণ, যা ঘটে তার অংশই তো দেখানো হয়; গণমাধ্যমের কথা বোঝাচ্ছি। গণমাধ্যম ‘অতি-প্রত্যক্ষ’ ব্যাপারই তুলে ধরে। যেমন, হরতালের যে-সহিংসতা আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখি তা তো হলিউডের কোনো চলচ্চিত্রের মতো অ্যানিমেশন কিংবা সফটওয়্যারের কাজ নয়।
গাঙগর : গণমাধ্যমের খোঁজে গণমাধ্যম
আমরা সবাই ‘বেশ্যা’! খটকা লাগলো বুঝি। লাগাটাই স্বাভাবিক। আধুনিক, সভ্যজাত সমাজের মানুষকে ‘বেশ্যা’ বলাটা দুঃসাধ্যও বটে। সাহস করেই বলছি, একটু খোলাসা করলে আমার সঙ্গে একমত হবেন বৈকি। যে মেয়ে অন্য উপায় না পেয়ে, শুধুমাত্র পেটের দায়ে শরীর বেচে, ভদ্র সমাজ তার নাম দিয়েছে
একটি অসমাপ্ত প্রেম! শীত বসন্তের ডাকাডাকি...
ছোট একটি গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। বাংলার ভাটি অঞ্চলে এক সময় ‘ফিরাইল’ নামে একটা চরিত্র ছিলো। লম্বা-লম্বা চুল, আলখাল্লা পরা ফিরাইলের হাতে থাকতো গাছের শাখার বাঁকানো লাঠি। নবান্নের আগে আগে আবির্ভাব হতো ফিরাইলের। ফসলের মাঠে একটা কুটির বানিয়ে দেওয়া হতো তাকে; সেখানে
সাদা জলের মেঘ কাশবনে এসে মরে গেলো
হাওরের জল গভীর হয়ে ভরে আছে চোখের সবখানি সীমানায়। মাঝখানে দেখা যায়, রঙিলা এক নাও। তাতে জমানো পাট নাই, সোনা রঙের ধান নাই, হালকা আসমানি রঙের সেই নাওয়ের গায়ে লাল আর সাদা রঙের উজ্জ্বল কারুকাজ। বাদ্য বাজনার সরঞ্জাম, বাদকের দল। শুরু হয় গানের তান, নাচের আয়োজন। ছইয়ের নিচে
হুমায়ূনের চলচ্চিত্র : আধুনিকতার অন্তরালে মানুষের স্বরূপ সন্ধান
‘বড় বেদম ছুটছে দেখো সভ্যতা সময় হাঁপিয়ে মরে পাল্লা দিতে সূর্য ডুববে বলে কালপেঁচাটা ওৎ পেতে বসে আছে টেক্কা দিতে।। ...ভাঙছে মানুষ নিজে গতির দাপটে অসহায় ভালোবাসা নীল হয়ে ওঠে খুরোর কলের টানে ভোরহীন ছোটা সাপের মুখে যেতে মই বেয়ে ওঠা খেরোর খাতা হাতে অসময় আসে কালো কালো
হালের চিত্রাঙ্গদা : লৈঙ্গিক রাজনীতির ঘেরাটোপে আত্মপরিচয়ের সঙ্কট
ইংরেজিতে লিঙ্গ শব্দের দুটো প্রতিশব্দ ‘সেক্স’ ও ‘জেন্ডার’। শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্য বিস্তর।‘সেক্স’ জৈব,মানে ‘উপর’ থেকে নিয়ে আসা; আর ‘জেন্ডার’ হলো মনস্তাত্ত্বিক বা সাংস্কৃতিক নির্মাণ। ফলে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’ বললে বোঝায় জৈব অবস্থান।অন্যদিকে,পুরুষালি/মেয়েলি
চারুলতা-চৈতি বোস, একুশ শতকে ‘সত্যজিতীয় নারী’র পুনর্নির্মাণ
বন্দী হয়ে আছো তুমি সুমধুর স্নেহে অয়ি গৃহলক্ষ্ণী, এই করুণ ক্রন্দন এই দুঃখদৈন্যে-ভরা মানবের গেহে।১ কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলায় নবজাগরণের সুর বাজছে। সমাজ,পরিবার,রাষ্ট্রের গঠন ও প্রকৃতি ভিন্নমাত্রা ধারণ করতে শুরু করেছে;গড়ে উঠেছে উচ্চবিত্ত-শিক্ষিত-রাজনীতি
সুতা তো কেটে গেছে নাটাই ধরে থেকে কী লাভ!
১. মানুষের হাত ধরে কতো কিছুই না পৃথিবীতে এসেছে। এর অনেক কিছুই শেষ পর্যন্ত নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারেনি। উপযোগিতা হারিয়ে আপনা-আপনি হারিয়ে গেছে। আর যেগুলো টিকে আছে তা নিজ গুণে, নিজ বৈশিষ্ট্যের জোরে। আবার এমন অনেক কিছুই এসেছে, যার গায়ে নিছক ‘হেয়ালি’র তকমা লাগিয়ে
বিভ্রম : সিনেমাটোগ্রাফার যখন ‘তথ্য-সাজনদার’
ব্যবসার ক্ষেত্রে information exploiter (তথ্য-সাজনদার) বহুল ব্যবহৃত একটি প্রত্যয়। ব্যবসায় বাড়তি উপযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্তের সন্নিবেশন কীভাবে করতে হয়, তা এই প্রত্যয়টি ব্যাখ্যা করে। একইভাবে একজন সিনেমাটোগ্রাফার চলচ্চিত্র-ব্যবসার সঙ্গে বাণিজ্যিক উপযোগিতা সৃষ্টির
রাজনৈতিক-মঞ্চে বন্দি চলচ্চিত্র : আলো হাতে মেহেরজুই সঙ্গে দ্য কাউ
শিল্প, সাহিত্য বিকাশের অন্যতম প্রধান তীর্থভূমি পারস্য। দীর্ঘকাল ধরে শিল্প, সাহিত্যে নিজেদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করে এই দেশটি অর্জন করেছে জগৎজোড়া খ্যাতি। সারা বিশ্বের অগণিত মানুষের পছন্দের জায়গায় রয়েছে পারস্যের চিত্রকলা, নৃতত্ত্ব, সাহিত্যসহ আরও
স্বপ্নভঙ্গের জীবন্মৃত দীর্ঘ উপাখ্যান
ঘটনাটা হয়তো অনেকেরই জানা, তারপরও নতুন করে অবতারণার চেষ্টা। সত্যজিৎ ততোদিনে পথের পাঁচালীর শুটিং অনেকখানি শেষ করে ফেলেছেন। নিজের জমানো কিছু টাকা, ইন্স্যুরেন্স ও অন্যান্য জায়গা থেকে সংগৃহীত অর্থের সাহায্যে বাকি শুটিং চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন; আর আশায় বুক বাঁধছেন,
আব্বা হুজুরের দেশে চলচ্চিত্র পরিবেশন ও প্রদর্শন ব্যবস্থার হালচাল : উত্তরণে প্রজা সকলের ঘুমন্তচিন্তা
সদ্য প্রসূত নবজাতককে পৃথিবী যেমন আলো-বাতাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে, ঠিক অবিকলভাবেই চলচ্চিত্র তার অস্তিত্ব প্রকাশ করে প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এরপর নবজাতকের বেড়ে উঠতে যেমন পৃথিবীটাকে দরকার হয়, তেমনই চলচ্চিত্রের উন্নয়নেও দরকার প্রেক্ষাগৃহের। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণচিন্তার
টালিগঞ্জের ‘নতুন’ সিনেমা ‘উজান স্রোতের ডিঙি’
‘ফিল্মকে আর্টিস্টিক করতে হইলে সর্বাগ্রে চাই গল্পের সুসমঞ্জস বিকাশ ও তার অভিনয় মনস্তত্ত্বেও নিখুঁত লীলা।’১ ‘এখানে আদর্শ হিসেবে ধরা হচ্ছে গ্রিফিথের চলচ্চিত্রকে, জোর দেয়া হচ্ছে ‘মানবতা’ ও ‘স্বাভাবিকতা’র উপর, যেখানে গল্প বলার কাজটি ‘Natural chain ধরিয়া চলিবে; train of events স্বাভাবিক
৮০’র দশকের শেষে হংকং-এর সিনেমা ফাইনালি যখন মার্কিন মুভি-মার্কেটে প্রবেশ করতঃ দর্শককুলকে তাদের সিনেমার জন্যে নিয়মিত বিরতিতে ছবিঘরে টেনে আনতে সক্ষম হয়-সে-ক্ষণে সমালোচক ও পত্রিকাওয়ালারা দ্রুততা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে রায় দেন হংকং-এর ছবি মানেই বাণিজ্যিক মাসালা মুভি।
‘সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে : চোখের দেখায় তা তো মিথ্যা নয়!’
যা দেখি তা তো মিথ্যা নয়। কারণ, যা ঘটে তার অংশই তো দেখানো হয়; গণমাধ্যমের কথা বোঝাচ্ছি। গণমাধ্যম ‘অতি-প্রত্যক্ষ’ ব্যাপারই তুলে ধরে। যেমন, হরতালের যে-সহিংসতা আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখি তা তো হলিউডের কোনো চলচ্চিত্রের মতো অ্যানিমেশন কিংবা সফটওয়্যারের কাজ নয়। বাস্তবচিত্রই;
তিতাস-এর ৪০ বছর ও একজন ঋত্বিক : একটি পুনর্মূল্যায়ন
আমি ছাড়া তিতাস সৃষ্টি হতো না। তিতাস ছিল আমার স্বপ্ন। আমার মতো মমতা দিয়ে এ কাহিনীকে কেউ তুলে ধরতে আগ্রহী হতেন না।১ ভীষণ একরোখা ও জেদি ঋত্বিক অনেকটা অভিমান নিয়েই এ-কথা বলেছিলেন। এর অবশ্য যথেষ্ট কারণও ছিলো। ১৯৭৩ সালে তিতাস একটি নদীর নাম মুক্তির পর থেকেই শুরু হয় নানান
সতী, অন্তর্জলী যাত্রা ও ওয়াটার : দাহ নারীর সেকাল একাল
আমরা খুঁজছিলাম অন্য একটি শব্দের মানে, অভিধানে হঠাৎই চোখে পড়লো শব্দটি; মনে হলো দেখিনা, এর অর্থ কী আছে! দেখলাম, পুরুষ শব্দটির অর্থ করা হয়েছে-নর, মানুষ (মহাপুরুষ), ঈশ্বর।১ তৎক্ষনাৎ আমাদের কেনো জানি মনে হলো-দেখিতো নারীর সমার্থক কী করা হয়েছে? কৌতূহল পূরণ হয়ে সেখানে জায়গা করে
অ্যাপোক্যালিপ্টো : আদিম ভয়ের তথ্য অনুসন্ধান
গ্রিক শব্দ apokalupto একটি ক্রিয়াপদ। যার অর্থ হচ্ছে uncover-উন্মোচিত/উদ্ঘাটন/ব্যক্ত করা, disclose-অনাবৃত/প্রকাশ করা অথবা reveal-দৃষ্টিগোচর করানো/জানিয়ে দেওয়া।১ এই চলচ্চিত্রে মেল গিবসন অ্যাপোক্যালিপ্টো বলতে মূলত বোঝাতে চেয়েছেন a new beginning বা নতুন জীবনের শুরু প্রসঙ্গে।২ বাইবেলের শেষ অধ্যায়কে
ভিতর চোখে ‘হিজড়া’ উপাখ্যান এবং মেলবন্ধনে ‘পপুলার কালচার’ ও ‘হাই কালচার’
আমরা কীভাবে আমাদের আত্মপরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করি? কিসের ভিত্তিতে হয় এই সংজ্ঞায়ন? ‘স্বাভাবিক’ শব্দটির মানে কী আমাদের কাছে? যারা আমাদের তৈরি এই স্বাভাবিকের মানদণ্ডে পড়ে না, আমরা কেনো তাদেরকে ঘৃণা করি? কেনো খুঁজতে যাই না এই ঘৃণার কারণ, শুধু অন্ধের মতো ঘৃণাই করি। আমরা কিছু
রূপান্তর : নিয়ম ভাঙা-গড়ার নতুন পথে এক ‘দস্যি’ চলচ্চিত্র
এক আশ্চর্য শক্তির নাম গণমাধ্যম। সময়ের ভারে ভারাক্রান্ত ও মোহগ্রস্ত এক মাধ্যম হিসেবে যার পরিচিতি আজ সর্বত্র। এক সময়ে স্বাভাবিক মাত্রায় মানবীয় বলয়ে চলতে থাকা এই মাধ্যমটি বর্তমানে জ্যামিতিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়া শক্তিশালী এক দানবের নাম। নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে,
শিল্পে সাতচারা ও সিনেমা দ্য লাস্ট ঠাকুর
মগবাজার মোড়ের একটা ছোট জটলা আর শাহবাগের মোড়, যে-রাস্তাটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলে গেছে তার ডান দিকে জাতীয় যাদুঘর, জাতীয় গ্রন্থাগার, চারুকলার ক্যাম্পাস এবং তার উল্টোদিকে ছবির হাট হয়ে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের অনেকাংশ জুড়ে যে-হাজার মানুষের প্রতিদিনের জমায়েত তা
‘চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয়তায় নির্মাতার দায়’
ম্যাজিক লণ্ঠন কথামালা-২ স্থান : ১২৩, রবীন্দ্র কলাভবন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সময়
‘এখনতো সংস্কৃতি নির্বাসনে, তাই রাজনীতিতে আছে শুধুই দুর্নীতি’
আমজাদ হোসেন; অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, সংলাপকার, গীতিকার, নাট্যকার, গল্পকার, ঔপন্যাসিক-শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায় তার বিচরণ চোখে পড়ার মতো। জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৪২ জামালপুরে। সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত কিশোর বয়সে। ৫০’র দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার
‘সেখানে নারকেল গাছও আছে, আছে কলা গাছের ভেলাও; সর্বোপরি সেখানে রয়েছে মানুষ’
তিনি আফ্রিকান চলচ্চিত্রের জনক। চোখের সামনেই তিনি দেখেছেন তার দেশের নিপীড়িত মানুষের সংগ্রাম। মানসিক ও আর্থিক দাসত্বের শিকার এই মানুষগুলোর নিত্য সহচর ছিলেন তিনি। নিম্নশ্রেণির মানুষের সঙ্গে বুর্জোয়া সমাজের প্রতারণা, আফ্রিকান সরকার ও আরব শাসকবর্গের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন
পুরো নাম : লুই বুনুয়েল পোর্টোলেস জন্ম : ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯০০, ক্যালান্ডা টিরিএল এরাগন, স্পেন চলচ্চিত্রে অবদান : সুররিয়ালিজম ধারার পথিকৃৎ মৃত্যু : ২৯ জুলাই ১৯৮৩, মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো বস্তুর দৃশ্যমান গতিশীলতা ধরাই ছিলো চলচ্চিত্রের সফলতার প্রথম উদ্দেশ্য।
ইআইসিটিভি, পিছিয়ে পড়া মানুষের এগোনোর স্বপ্ন
১. ঠিক সকাল নয়টায় তিনি ক্লাসে উপস্থিত হন। ক্লাস সময়মতো শুরু হলেও এর শেষ কখন হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কেউই তা জানে না। বেশিরভাগ দিনের ক্লাস এগিয়ে চলে নতুন কিছু একটা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে। ফলে প্রত্যেককেই এক ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হয়; যাতে তারা ক্লাসে কাজ করতে গিয়ে
ভেনিস উৎসব : প্রেম, সৌন্দর্য আর নিসর্গ যেখানে মিশেছিলো সেলুলয়েডে
অনুভবের মেরু থেকে বিজ্ঞানের মেরু, সর্বত্রই চলচ্চিত্রের যাতায়াত। এছাড়াও শিল্পকলার অন্যান্য মাধ্যমগুলোর সঙ্গে এর বড়ো পার্থক্য হলো- বহু-দর্শকপ্রিয়তা। এ-জন্যই চলচ্চিত্র সহজেই গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। শিল্পকলার নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে চলচ্চিত্রের এই সক্রিয়তাটি
সিনেমার প্রেমে পড়া অতঃপর একটি বই
কৈশোরের প্রেম কি ভোলা যায়? ভোলা না গেলেও জীবন তো চলে যায়, চালিয়ে নিতে হয়। স্মৃতির বালুচরে পলি জমে, সেই প্রেম চাপা পড়ে। আবার তা ফিরে আসে। এমন করেই মাহমুদুল হোসেন তার কৈশোরের প্রেম চলচ্চিত্র নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন চার দশক। পেশায় সিস্টেম অ্যানালিস্ট, সফটওয়্যার ব্যবসার
বিষয়বস্তু : নিবিড় বন্ধন, মূল প্রতিপাদ্য ব্যবসা
সেই প্রথম থেকেই তো দিয়ে আসছে! প্রকৃতি মানুষকে আর কতো দেবে? তাই দেওয়ার পরিমাণ এখন আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। কিন্তু ‘চাই’ এর পরিমাণ তো আর কমেনি! এ-কথা যে-কেবল আমিই বুঝি, বিষয়টি মোটেও তা-নয়। অনেকেই বোঝেন। অনেককেই বুঝতে হয়; বিভিন্ন প্রয়োজনে। যেমন ধরুন, যাদের অঢেল অর্থের প্রয়োজন
‘কানামাছি ভোঁ-ভোঁ, যারে খুশি তারে ছোঁ’ কিন্তু চোখ খুলে
প্রতিদিন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সংবাদপত্র পড়ছি। সময় আর আগ্রহের অভাবে সব সংবাদ অবশ্য বিস্তারিত পড়া হয় না। প্রথম পাতার বড়ো অক্ষরের শিরোনামগুলোই আমাদের দৃষ্টিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আকর্ষণ করে। আমরা পড়িও সেগুলোই বেশি; কারণও অবশ্য আছে। বড়ো অক্ষরের শিরোনামগুলো সাধারণত ‘গুরুত্বপূর্ণ’
আবহমানকাল থেকে মানুষ চিত্তবিনোদনের জন্য লোকজ সংস্কৃতি, সঙ্গীত, নৃত্য, শিল্পকলা, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশনসহ নানা উপকরণের দ্বারস্থ হয়ে আসছে। যান্ত্রিক মাধ্যমগুলো আসার আগে দর্শকদের সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে অনুষ্ঠানস্থলে যেতে হতো কোনো কিছু উপভোগ করার জন্য, যা