১০ম সংখ্যা, জানুয়ারি ২০১৬
শেষ তিনটে ছবি করেছিল বলে মানিক আরও আট বছর বেঁচেছিল
আগামী অক্টোবরে বিজয়া রায়ের আশি বছর পূর্ণ হবে। আশি বছরে অগুন্তি স্মৃতির ভিড়, খণ্ড খণ্ড স্মৃতি চিত্র, সময়ের পূর্বাপর হয়তো কখনও অজান্তে ওলট-পালট হয়ে গেছে তাঁর সাবলীল কথা বলার ভঙ্গিতে। আমি সেই অগোছালোভাব ইচ্ছে করেই রেখে দিলাম কারণ স্মৃতি তো কেবলমাত্র ঘটনার তালিকা
নায়িকা সংবাদ : একটি সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
চলচ্চিত্র নির্মাণ, দেখার কারণ ও তার ফল সবার কাছে একই রকম নয়; অনেকের কাছে হয়তো এর কোনোটারই কোনো মূল্য নেই। নির্মাতার মনের মধ্যে সমাজ, জীবন, পরিবেশ, ব্যক্তি, কল্পনাসহ বিভিন্ন বোধ খেলা করে¾নানাভাবে সেসব তাকে উপাদান জোগায়, অবশেষে চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে। দর্শকও সেখান থেকে
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে আমার একটা মিশ্র অনুভূতি আছে। আমি এর ভালো সময়টাও দেখেছি, খারাপটাও দেখেছি। খুব খারাপ লাগে যখন শৈশবের দিকে তাকাই, সেই ১৯৬১ থেকে ১৯৭০, মানে এই দশকটা। যদিও দশকের আলোকে সাহিত্য, শিল্পকলার বিচার হয় না। তবুও সুবিধার জন্য অনেক সময়ই দশক, শতক উল্লেখ
বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে আলাপচারিতা
৬০ কোটি রুপির ভারতীয় পিকে (২০১৪) এখন (অক্টোবর ২০১৫) পর্যন্ত সাতশো কোটি রুপির বেশি আয় করে ব্লকবাস্টার হিট। এ চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগেই একশো কোটি রুপির ব্যবসা নিশ্চিত করে ফেলেছিলো শুধু টিভি ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে। কীভাবে সম্ভব এটা! মুক্তির আগেই ৮৫ কোটি রুপিতে
৯০-এর দশকে জন্ম নেওয়া আমাদের প্রজন্মের কাছে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ছিলো একটি উচ্চমাত্রার বিতর্কিত বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি এমন অনেক সকালের সাক্ষী যেখানে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা পাক-ভারত-বাংলাদেশ নিয়ে ধুন্ধুমার বিতর্কে মশগুল থাকতেন। তাদের কেউ কেউ ১৯৭১-এ ভারতের
‘অলকা’ থেকে ‘অলকা নদী বাংলা শপিং কমপ্লেক্স’
আমার মা খুব সিনেমার পোকা ছিলেন। মা প্রায়ই আমাকে নিয়ে অলকা হলে চলে যেত সিনেমা দেখতে। মেয়েদের টিকেট কাউন্টারে ভীষণ ভিড়ের মধ্যে মা চুলোচুলি করে টিকেট কাটত। ভিড় থেকে যখন বেরোত, শাড়ির অর্ধেক খুলে গেছে, চুল এলোমলো, ঘেমে নেয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা। কোনো নতুন সিনেমা এলে মা’কে
চলচ্চিত্রে বাবা : যাপিত জীবন থেকে আলাদা করা মুশকিল
প্রিয় হিলদিতা, আলেইদিতা, কামিলো, সেলিয়া ও এর্নেস্তো— তোমরা যখন এই চিঠি পড়বে তখন আর আমি তোমাদের মধ্যে থাকব না। আমার কথা তোমাদের প্রায় কিছুই মনে পড়বে না, আর ক্ষুদে দুটোর তো কোন কিছুই মনে পড়ার কথা নয়। তোমাদের বাবা এমন একজন মানুষ হয়ে উঠেছে—যে তার চিন্তা ও কাজে এক,
কোনো ধরনের জরিপের বরাত না দিয়েও বলা যায়, বর্তমানে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের একজন দিপিকা পাড়ুকোন। এখন ক্যারিয়ারের তুঙ্গে আছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তারকা বলেছেন, বিয়ে করলে ‘আমি অভিনয় ছেড়ে দিয়ে সংসারী হয়ে যেতে পারি। কারণ, আমার কাছে পারিবারিক
থার্ড পারসন-এর পিঠে চড়ে আবহসঙ্গীত দর্শন
সঙ্গীতে ইমেজের বয়ান অনেক শিল্পের বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে একটি স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে যেমন উপন্যাসের বর্ণনা, নাটকের সংলাপ আছে, তেমনই অভিনয়, সঙ্গীতের ছন্দ, আলোকচিত্রের বাস্তবতা, চিত্রকলার কম্পোজিশন-টোন-রঙ ও স্থাপত্যের গঠনশৈলী রয়েছে।
আহমেদিনেজাদের কাল ও ইরানি চলচ্চিত্রের উদ্ভট সময়
বিপ্লব পরবর্তী শাসনামলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এই পরিবর্তন যতোটা না স্বতঃস্ফূর্ত, তার চেয়ে অনেক বেশি রাষ্ট্রীয় বল প্রয়োগের ফল। জীবনাচরণসহ সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞার
গাহি সাম্যের গান— যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান।১ ধর্ম হচ্ছে কিছু ‘সুনীতিমালা’র সমষ্টি। পৃথিবীর নানা দেশে, নানাভাবে এই ‘সুনীতিমালা’র মধ্যেই মানুষ শান্তি, মুক্তি খুঁজেছে। কিন্তু শান্তি-মুক্তির বদলে
‘বিশে বিদ্যা, তিরিশে ধন, চল্লিশে ঠনঠন’—গাঁও-গেরামে প্রচলিত এমন কথা বয়সের সঙ্গে জীবনের একটা পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাতে বলা হয়। অর্থাৎ বয়স ২০ বছর হলে বিদ্যাশিক্ষা অর্জন, ৩০-এ ধনসম্পদ করো, কারণ ৪০ বছরে ঠনঠন মানে শূন্যতা বোধ হবে। আর এই কথার সূত্র ধরেই মনে হয় চলে আসে
‘একজন বিদেশির চোখে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সংক্ষিপ্তসার’ বিষয়ে যখন আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলো, তখন আমার মনে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো; বিশেষত এ বিষয়ে কথা বলার ব্যাপারে একজন বহিরাগতের সীমাহীন জটিলতা রয়েছে। ১৬টি ভাষায় নির্মাণ হয় ভারতীয় চলচ্চিত্র।
লেসটার জেমস পেরিস; ভাব-ভাষান্তর : তাকিয়া সুলতানা ও জাহাঙ্গীর আলম
সাধারণের কথা বললেও সাধারণের কাছে যেতে পারেনি জালালের গল্প
একটা অবস্থা থেকে আরেকটা অবস্থায় সমাজের ইতিবাচক রূপান্তর হওয়ার পর্যায়টি ইতিহাসের সূচিপত্রে রেনেসাঁ শিরোনামে স্থান পায়। তবে এই জাগরণ দেখতে একটা সমাজকে দীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হয়। আবার কোনো সমাজ সেই জাগরণের দেখা যে খুব অল্প সময়ে পাবে না, এটাও জোর দিয়ে বলার জো
সংবিধিবদ্ধ যৌনজীবন ও কালপুরুষ-এর আলোছায়া
ঝামু সুগন্ধ নিবেদিত কালপুরুষ, কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের চলচ্চিত্র। অভিনয়ে মিঠুন চক্রবর্তী, রাহুল বোস, সামিরা রেড্ডি, লাবনি সরকার, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সাগ্নিক চৌধুরী প্রমুখ। যুগল সুগন্ধ প্রোডাকশন্স প্রযোজিত কালপুরুষ-এর কাহিনি, চিত্রনাট্যও বুদ্ধদেবের। প্রথম
ইট-পাথরের ফ্রেমে বাঁধা জীবনে কাঙ্ক্ষিত স্বস্তির খোঁজ
গতিময় নগরের অন্তঃসারশূন্য ‘মানুষ’ পাশাপাশি হাঁটছে সবাই। গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগছে, নাক স্পর্শ করে যাচ্ছে অন্য কারও গায়ের ঘ্রাণ। চোখে চোখ পড়ছে; কিন্তু হচ্ছে না ভাবের বিনিময়। চোখ-মুখ জুড়ে শুধু অস্থিরতা, সব পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এক অদৃশ্য টান শরীরে। কোনো
আনফ্রিডম : বন্দি রাজ্যে অপরের হালচাল
পৃথিবীতে যে যুদ্ধ আজ নিত্যসঙ্গী, তার প্রভাবে প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে, হাজারও মানুষ হচ্ছে শরণার্থী। এই অরাজক পরিস্থিতিকে ‘স্বাভাবিক’ করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ও বিশ্বনেতাদের কর্মতৎপরতারও যেনো কমতি নেই। যেসব ‘অপশক্তির’ কারণে এই যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, তাদের দমনে
পুঁজি-রাষ্ট্রের খেলায় অহল্যার বিনির্মাণ
বাস্তব জীবনের সঙ্গে সঙ্গে কল্পনাতেও ব্যক্তির একটা জগৎ থাকে। সেই কল্পনার জগতকে ব্যক্তি নানাভাবে সাজায় গোছায়, সম্ভব-অসম্ভব সব চিন্তা-ভাবনা জড়ো করে। ব্যক্তির ওই অদেখা জগতেও কিন্তু খানিকটা রহস্য-রোমাঞ্চ উপস্থিত; অনেকটা সেলুলয়েডের জীবনের মতো। যেখানে বাস্তব-অবাস্তব,