১ম সংখ্যা , জুলাই ২০১১
বাংলালিংকের দিন বদলে নারী উদ্ধারকল্প
ক্রমাগত প্রাযুক্তিক বিকাশের সাথে তাল রেখে চলছে দেশের বহুমুখী গণমাধ্যম। এসব গণমাধ্যমের আধেয়র দিকে লক্ষ্য করলে বিজ্ঞাপনের আধিক্য স্পষ্টতই চোখে পড়ে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তো কোমর বেঁধে নেমেছে কে কত বেশি ডলার ব্যয়ে নিজেদের ঢাক-ঢোল পেটাতে পারে তার প্রতিযোগিতায়। এক্ষেত্রে
ক্রীড়া সংবাদের বর্তমান ধরনের একটি ঢং হলো- গল্পে গল্পে বলে যাওয়া। যারা গল্প বলেন তারা সবসময় চান গল্পের শ্রোতা যেন বেশি হয়। এই বেশি শ্রোতা মাথায় রেখে গল্প লেখক বা ক্রীড়া সাংবাদিক তার সংবাদে মাঠ ও মাঠের বাইরের অনেক কিছু জুড়ে দেন। এই জুড়ে দেওয়া বা জোড়া দেওয়ার বিষয়টা অনেক
বিশ্বায়ন, তথ্যায়ন এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ
Globalization is not the only thing influencing events in the world today, but to the extent that there is a North Star and a worldwide shaping force, it is this system. -Thomas Friedman, The Lexus and the Olive Tree,1999 ভূমিকা ফ্রাইডম্যানের উল্লিখিত বক্তব্য বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় ক্রিয়াশীল সাংস্কৃতিক ও প্রাযুক্তিক শক্তিসমূহের গভীর গুরুত্বকেই নির্দেশ করে যা সমকালীন বিশ্বকে নতুনভাবে আমাদের
বিষয় চলচ্চিত্র, ফরমায়েশি লেখায় সময়ের অতিক্রম
চলচ্চিত্র শিল্প কিনা এ নিয়ে এখন আর তেমন কোনো বিতর্ক নেই। চলচ্চিত্রকে আগে পপুলার আর্ট হিসেবেই দেখা হতো। দর্শক আকর্ষণের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক বিষয়গুলো চলচ্চিত্রে প্রয়োগ করার দিকে দৃষ্টি রাখতেন পরিচালক। গভীর তথ্য,সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্ব,দোষগুণে মেশানো জটিল চরিত্র চলচ্চিত্রে
আইজেনস্টাইন, চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে তুমিই শ্রেষ্ঠ!
জন্ম: ১৮৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম ছবি: স্ট্রাইক (১৯২৪) মৃত্যু: ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সাল সবচেয়ে আলোচিত ছবি: ব্যাটলশিপ পটেমকিন (১৯২৫) অবদান: ইনটেলেকচ্যুয়াল মন্তাজ বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ছেলে হতে চাইলো অন্য কিছু। তাইতো সিভিল
‘সিনেমা সংশ্লিষ্ট লোকদের মুখোমুখি হওয়া সহজ হবে না, একথা সরকার জানতো’
পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে চলচ্চিত্র এখনও আমলাতন্ত্রকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিতে ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের কাছে হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ‘মূল্যবান’,‘প্রাচুর্যময়’ছবি হিসেবে মুক্তির আনন্দে সেন্সরবোর্ড গলে লাফিয়ে বেরোনো ছবিগুলোর বাইরে সিনেমাকে কিছু কিছু জায়গায় গুরুতর রাজনৈতিক
আমি এখন আমাদেরকে বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা বলতে পারি না
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনেকগুলো ইতিহাস তার হাত দিয়ে রচিত। যৌবনে চরম উৎসাহে শুরু করেছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আন্দোলন। পরবর্তীতে বিকল্প ধারা নামে পরিচিত এই আন্দোলন বাংলা সিনেমার সমগ্রতায় কতখানি সুফল বয়ে এনেছে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ হলেও একথা ঠিক এই আন্দোলনের ফলে
আবহমান; মানুষ, দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের অসাধারণ উপস্থাপন
প্রতিটি মানুষ এক ও স্বতন্ত সামাজিক, ভৌগলিক, অর্থনৈতিক প্রতিবেশ আর প্রদেয় পরিস্থিতির বিভিন্নতায় তার দেখার চোখ বিশেষ বৈশিষ্ট্য পায়। পরস্পরের এই দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতায় তাই আপেক্ষিক হয়ে ওঠে ভালো লাগা, মন্দ লাগার বিষয়গুলো। আমরা কেবল এই ভিন্ন ভিন্ন দেখার চোখকে দাঁড় করিয়ে
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার : উপরিতলে নারী সমস্যার আবরণে ভোগবাদীতার বয়ান
বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্র গত দুই দশক ধরে অশ্লীলতা, গতানুগতিকতা ও বীভৎস সব দৃশ্যে ভরে গেছে- এমন মন্তব্য মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর। ‘ছোটলোকদের’ জন্য বানানো এসব সিনেমার নাম শুনলে তারা নাক সিঁটকাচ্ছেন। অন্যদিকে এই মধ্যবিত্তরাই ড্রইংরুমে বসে স্বপরিবারে দেখছেন
রাজকীয় আইটেম সঙ, দৈন্য চলচ্চিত্র
ব্যবহৃত নানা জিনিসের সঙ্গে নিলামে তোলা হবে একটি স্কার্ট। অন্য জিনিসগুলো নিয়ে আগ্রহ থাকুক আর না-ই থাকুক স্কার্ট নিয়ে ধুন্ধুমার লাগবে-এমনটাই ধারণা নিলামকারীদের। তাদের প্রত্যাশা, বেশ ভালো দামে বিক্রিও হবে সেটি। নিলামের আগেই এই টাকা কীভাবে খরচ হবে তারও সিদ্ধান্ত হয়ে
শিশু চলচ্চিত্র আন্দোলন, শহরকেন্দ্রিকতা ও গ্রামের শিশুরা
শুরুটা রাজশাহী নগরী দিয়ে। ২০১০ সাল। মার্চ মাস। রাজশাহীতে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির ২য় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন চলছে। শহরের প্রায় সবগুলো বিদ্যালয়ের সঙ্গে সোসাইটির শিশুরা যোগাযোগ করেছে। কিছু বিদ্যালয়ের শিশুরা নিবন্ধনও করেছে উৎসবে আসার জন্য। উৎসবে সিনেমা
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে' শিরোনামে লেখাটি ২০১০ সালে চিলড্রেন'স ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহী'র শিশুদের জন্য আয়োজিত সেমিনারে পাঠ করা হয়। পরে লেখাটির কলেবর বাড়িয়ে প্রস্তুত করা হয় ম্যাজিক লণ্ঠন এর জন্য। অন্যদিকে ২০১১ সালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত ৩য় আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র
‘Softly, in the dusk, a woman is singing to me;Taking me back down the vista of years, till I see...’- D. H. Lawrence. দি রেইন বা যখন বৃষ্টি নেমেছিল (১৯৭৬) নামে ঢাকার এক বিখ্যাত চলচ্চিত্রের স্বনামখ্যাত গানগুলোর একটির কথা ছিল এ রকম-‘পরদেশী মেঘরে আর কোথা যাসনেবন্ধু ঘুমিয়ে আছে দে ছায়া তারে’গানটির চিত্রায়ণ না দেখলেও, কেবল শুনেই এমন দৃশ্যকল্প
রানওয়ে'র প্রদর্শনী, একজন সিনেমারফেরিওয়ালা ও কিছু ভিন্ন প্রশ্ন
লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় আবিষ্কার করলেন শিল্পের নবীনতম শাখা চলচ্চিত্র।এর কিছু আগে যখন তারা বুঝতে পেরেছিলেন সিনেমা আবিষ্কার এখন কেবল তাদের কাছে সময়ের ব্যাপার, ঠিক তখনই কিছু লোককে ক্যামেরা ও প্রজেক্টর চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে রেখেছিলেন। উদ্দেশ্য একটাই, সিনেমা আবিষ্কারের
টেলিভিশন চ্যানেল প্রযোজিত চলচ্চিত্রকানা মামা, নাকি শকুনি মামা
চলচ্চিত্র প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পমাধ্যম। প্রযুক্তি বাদেও পুঁজি ও নির্মাতা চলচ্চিত্রের আরও গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়। এই পুঁজি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে নির্মাতা সিনেমাকে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে যিনি পুঁজির যোগান দিয়ে থাকেন তাকে বলা হয় প্রযোজক। সেই
সংকটে এফডিসি, সংকটে বাংলা চলচ্চিত্র
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান নাজুক অবস্থা পাঠক মাত্রই ওয়াকিবহাল। দৈনিক পত্রিকাগুলোতেও হরহামেশাই আসছে চলচ্চিত্রের সংকটনির্ভর সংবাদ। কিন্তু কলমজীবীরা নিয়মিত এসব নতুন নতুন সংকট উন্মোচন করেও না সাধারণ, না সরকারের ভেতর কোনো উদ্বেগের সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছেন। বাংলাদেশের