Magic Lanthon

               

আব্বাস কিয়ারোস্তামি ভাব-ভাষান্তর : বিউটি মন্ডল

প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০০ মিনিট

অন্যকে জানাতে পারেন:

চারপাশে যা ঘটছে সেদিকে তাকান, সেগুলোকেই চলচ্চিত্রে রূপ দিন

আব্বাস কিয়ারোস্তামি ভাব-ভাষান্তর : বিউটি মন্ডল


সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু আকিরা কুরোসাওয়াকে এতটাই ব্যথিত করেছিলো যে, তিনি বলতে বাধ্য হয়েছিলেন এ শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই আব্বাস কিয়ারোস্তামির চলচ্চিত্র যখন দেখতে শুরু করলেন তিনি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিলেন। কারণ সত্যজিতের জায়গাটি নেওয়ার মতো একজন সঠিক মানুষ তিনি আমাদের দিয়েছেন। সেই মানুষটিই ইরানি চলচ্চিত্রনির্মাতা আব্বাস কিয়ারোস্তামি। দুনিয়া তাকে শুধু প্রতিভাবান নির্মাতা হিসেবেই নয়; চেনে প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, চিত্রগ্রাহক, চলচ্চিত্র-সম্পাদক, গ্রাফিক ডিজাইনার, চিত্রশিল্পী, কবি হিসেবেও।

স্বপ্নবান এই মানুষটির জন্ম ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন ইরানের তেহরানে। পড়াশোনা করেছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ফাইন আর্টসে শিল্পকলা ও গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে। পাঠ চুকিয়ে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে কর্মজীবন শুরু করেন কমার্সিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে। পাশাপাশি চলচ্চিত্রের ক্রেডিট লাইন ও শিশুতোষ গ্রন্থের অলংকরণের অভিজ্ঞতা হতে থাকে তার। এর মধ্যে বিজ্ঞাপন নির্মাণেও কিয়ারোস্তামি পাকিয়ে নেন হাত।

আব্বাসের বেড়ে ওঠার এই সময়ে ইরানের আরেক চলচ্চিত্রনির্মাতা দারিউস মেহেরজুই-এর চলচ্চিত্র গাব বেশ সাড়া ফেলে। চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইরানিয়ান নিউ ওয়েভ নামে চলচ্চিত্র আন্দোলন। কিয়ারোস্তামি ছিলেন ওই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ একজন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে তিনি নির্মাণ করেন প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ব্রেড অ্যান্ড অ্যালি। এরপর ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দ্য এক্সপেরিয়েন্স নির্মাণ করেন তিনি। সবমিলিয়ে কিয়ারোস্তামি নির্মাণ করেন ৪০টির বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এসব চলচ্চিত্রে একদিকে যেমন উঠে এসেছে নব্য-বাস্তববাদ ধারা ও প্রগতিশীল রোমান্টিকতা, অন্যদিকে তৃতীয় বিশ্বের আশাবাদ এবং ইরানি সমাজের অগ্রগতি নিয়েও ভেবেছেন তিনি। দীর্ঘ কর্মজীবনে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কিয়ারোস্তামি পেয়েছেন ৪৬টির বেশি পুরস্কার। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে টেস্ট অব চেরি কান উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পাম ডিওর জিতে নেয়। তার দ্য উইন্ড উইল ক্যারি আস পায় ভেনিস গ্রান্ড জুরি পুরস্কার। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে পরপারে পাড়ি জমান বিখ্যাত এই নির্মাতা।

২০১৪ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র বিভাগে (IU Cinema) আমন্ত্রণ জানানো হয় আব্বাস কিয়ারোস্তামিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত এ আয়োজনে আব্বাস বেশ কয়েকটি আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় আব্বাসের একটি একান্ত সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। ওই বছরের ২১ জুলাই সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। ম্যাজিক লণ্ঠন-এর জন্য ভিডিওটির ইংরেজি সাব-টাইটেল থেকে বাংলায় ভাব-ভাষান্তর করা হয়েছে।

 

প্রশ্ন : বিশেষ কোনো চলচ্চিত্র কিংবা শিল্পের কোনো মাধ্যম কি চলচ্চিত্রনির্মাতা হিসেবে আপনাকে প্রভাবিত করেছে?

আব্বাস কিয়ারোস্তামি : আমার মতে, অন্যদের চলচ্চিত্র দেখে আমরা যতোটুকু না প্রভাবিত হই, তার চেয়ে বাস্তব জীবন আমাদের কাজের ক্ষেত্রগুলোকে বেশি প্রভাবিত করে। সম্ভবত যারা অনেক চলচ্চিত্র দেখে, তারা অন্যদের চলচ্চিত্র থেকে প্রভাবিত হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে, ব্যক্তি জীবনে চারপাশে যা দেখি, সেই বিষয়গুলোই আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে। এটা জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের চারপাশে যা ঘটছে তা থেকে উৎসারিতআমি এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। যার প্রভাব চলচ্চিত্র কিংবা সাহিত্যের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। 

প্রশ্ন : এমন কোনো চলচ্চিত্রনির্মাতা কিংবা শিল্পী আছেন, যারা বছরের পর বছর আপনাকে প্রভাবিত করেছে?

কিয়ারোস্তামি : ভালো। আপনি যদি প্রত্যাশা করেন, গত ৪০-৫০ বছর ধরে আমি যেহেতু কাজ করছি, সেজন্য কিছু মানুষের নাম উল্লেখ করা উচিত; সেক্ষেত্রে বলবো, স্বাভাবিকভাবে তাদের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট নয়। কেননা মানুষের রুচি পরিবর্তনশীল। তাই বিষয়টা খুবই সাধারণ, যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছি তাদের নাম আমি বলবো না। তবে কিছুক্ষণ আগ পর্যন্তও জিজ্ঞাসা করা হলে দুই জন ব্যক্তির নাম বলতাম, যারা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছেন। তাদের একজন জাপানের নির্মাতা ইয়াসুজিরো ওজু, অন্যজন আমেরিকান নির্মাতা বাস্টার কিটন। কিন্তু সম্প্রতি আমি তাদের কিছু কাজ একাধিকবার দেখলাম। তখন মনে হলো এটা অন্যায়, কেননা আমরা অন্য নির্র্মাতাদের নাম উল্লেখ করছি না। তাই আপনাকে কোনো নাম বলবো না। কিন্তু এটা বলবো, এখন পর্যন্ত আমি যা কিছু দেখেছি, সেখানে যদি কোনো নিম্নমানের চলচ্চিত্রে ভালো কিছু থাকে, জনপ্রিয় নয় এমন কোনো সুরকারের তৈরি সঙ্গীতের আকর্ষণীয় অংশ থাকে, কিংবা এমন কোনো সাহিত্য যা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করেএই সবকিছুই আমাকে টানে।

প্রশ্ন : কতো বছর বয়সে বুঝতে পেরেছিলেন আপনি চলচ্চিত্রনির্মাতা হতে চান?

কিয়ারোস্তামি : কখনো ভাবিনি আমি নির্মাতা হবো। মূলত আমার লক্ষ্য ছিলো চিত্রশিল্পী হওয়ার। যথারীতি ছবি আঁকা শুরুও করি। কিন্তু আমি সফল চিত্রশিল্পী হতে পারিনি, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়েই হোক কিংবা মুক্ত বাজারে। তাই ছবি আঁকা থেকে গ্রাফিক আর্টের দিকে মনোযোগ দেই। আমি বিজ্ঞাপন নির্মাণের জন্য কাজ করি। বিজ্ঞাপন থেকে পরে শিশুদের বইয়ের অলংকরণ শুরু করি। তারপর কী হলো জানি না। হঠাৎই চলচ্চিত্রের ভিতর ঢুকে পড়লাম। শুরু করলাম চলচ্চিত্র ও গ্রাফিকের কাজের জন্য শিরোনাম ও পোস্টার বানানো। কিন্তু কখনো ভাবতেই পারিনি, এভাবে চলচ্চিত্রনির্মাতা হয়ে যাবো। যদিও এখনো এটা বলতে খুব দেরি হয়ে গেছে, আমি কোনো পেশাদার চলচ্চিত্রনির্মাতা নই। কারণ আমি নানাধরনের কাজ করিকাঠের শিল্প, ছবি আঁকা এবং ছবি তোলা। তবে এখনো বলতে পারি, যে কাজগুলো করি তার মধ্যে চলচ্চিত্র-নির্মাণ অন্যতম, যেখানে আমি সক্রিয় আছি।

প্রশ্ন : কেনো আপনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন?

কিয়ারোস্তামি : আমার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর একভাবে আছে, কিন্তু এখন আমি এর উত্তর অন্যভাবে দেবো। কারণ নিজেকে যেহেতু কবি ভাবি; এজন্য কিছু বিষয় আমাকে অপরাধী করে দেয়! যেকোনো সৃষ্টির জন্য নিশ্চিতভাবেই একটা পরিস্থিতি দরকার। তেমনই আমার কর্মগুলো বিদ্যমান পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। কেননা একটি চলচ্চিত্র তখনই নির্মাণ করা সম্ভব, যখন তার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকে। আবার কোনো গল্প পাওয়া গেলে তা থেকেও মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব। সেই সময় যদি এমন কোনো প্রযোজক পাওয়া যায়, যে আমার ঘনিষ্ঠ, তাহলে কাজটা আরো সহজ হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে আমি নির্মাতা হয়ে যাই।

তবে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সাধারণত আমার দুই বছর লেগে যায়। ওই সময়টাতে আমি ছবি তুলি। যদি সেখানে আলো থাকে আর কোনো মজার বিষয় আমার ক্যামেরার সামনে চলে আসে, সেসবের ছবিও তুলি। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আলো না থাকলে, অন্যকিছু করার কোনো সম্ভাবনা না থাকলে; সেক্ষেত্রে আমার মাথায় যে চিন্তা আসে তা নিয়ে কবিতা লিখে ফেলি। সেজন্য আমার কাজে বৈচিত্র্য পাওয়া যায়কাঠের কাজ, ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, ছবি তোলা ও চলচ্চিত্র-নির্মাণ। কিন্তু এসবের কোনোটাই আমার গুরুতর পেশা নয়।

প্রশ্ন : আপনি কাদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন?

কিয়ারোস্তামি : এই সময়ে এসে অন্তত আমার মনে হচ্ছে, এতো দিনে যে কাজগুলো করেছি তার বেশিরভাগই নিজেকে সন্তুষ্ট করার জন্য। আমার ওই কাজগুলোই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। সম্ভবত সে কারণেই আমি এক শাখা থেকে অন্যটায়, কখনোবা সেটাও ছেড়ে অন্য কোনো শাখায় চলে যাই। যদি কখনো কোনো কাজে ক্লান্তি আসে, সেক্ষেত্রে অন্যটায় চলে যাই। নিঃসন্দেহে বলবো, আমার মতামত ও কাজগুলো যদি কেউ শোনে বা দেখে, সেটা আমার কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি, আমার কাজের মধ্যে যে প্রেরণা রয়েছে সেটাই সৃষ্টির মূল বিষয়। কোনো কাজ শেষ হলে, সেটা আমার কাছে অনেক আনন্দের। ভিতর থেকে একধরনের শক্তি পাই, মনে প্রশান্তি আসে। আর সে কারণে ওই মুহূর্তে আমার কাজের প্রতিচ্ছবি চিন্তা করি না আমি। বরং অন্যকিছু করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

প্রশ্ন : চলচ্চিত্রনির্মাতা নাকি শিল্পীকোনটিকে আপনি উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যেতে চান?

কিয়ারোস্তামি : এটা বলা কঠিন, ঠিক কোনটিকে আমি উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যেতে চাই। নিঃসন্দেহে এমন কিছু বিষয় রেখে যেতে চাই, যাতে আমার স্বাক্ষর আছে; যা আমাকে ধ্বংস, উদ্দেশ্যহীন বা ছুঁড়ে ফেলে দিবে না। স্পষ্টভাবে ওই কাজগুলোর প্রতি আমার বিশ্বাস আছে এবং সেগুলোকেই উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যেতে চাই। যাই হোক একদিন আমি থাকবো না, কিন্তু আমার কাজগুলো থেকে যাবে। অবশ্য সেসব নিয়ে আমি ভাবি না। আমার আনন্দ জীবনের মধ্যে, যে কাজগুলো আমাকে টিকিয়ে রাখবে তার মধ্যে নয়। এটা হয়তো ঠিক, কর্মগুলো আমাকে টিকিয়ে রাখবে, আমি না থাকলেও। এটা না হয়ে যদি এমন হতো, আমি টিকে থাকতাম কিন্তু কাজগুলো থাকতো না; তাহলে সেটাই বোধহয় বেশি ভালো হতো!

প্রশ্ন : যদি তরুণ চলচ্চিত্রনির্মাতাদের সঙ্গে এক মিনিট থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি তাদের কী উপদেশ দিবেন?

কিয়ারোস্তামি : ভালো, এখন আমার কাছে অনেক সময় আছে। এজন্য আমি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে ভালো ভালো বিষয়ের ওপর কর্মশালা করাচ্ছি। আসলে সময়ের ব্যাপারে কখনোই আমি সঙ্কীর্ণমনা নই, আর সে কারণেই আপনাদের সঙ্গে ১০ দিন কাটাতে পারলাম। নিঃসন্দেহে আমি আপনাদের সঙ্গে নানাধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু যদি মাত্র এক মিনিট সময় থাকে, সেক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের কোনো নতুন শিক্ষার্থীকে বলবো, আপনি আপনার চারপাশে তাকান আর বেশি বেশি চলচ্চিত্র দেখুন।

কিন্তু যখন আপনি নিজে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন, সেসময় অন্যদের চলচ্চিত্র দেখবেন না। ওই সময় সাহিত্য আপনাকে অনেক সাহায্য করবেএমনটাও ভাবার কোনো কারণ নেই। তার চেয়ে বরং আপনি চারপাশে যা ঘটছে সেদিকে তাকান। সাহিত্য পড়ে কিংবা অন্যদের চলচ্চিত্র যা দেখেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন না কেনো, চারপাশের পরিবেশ থেকে সুবিধা নিন। নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। আর সেগুলোকেই আপনি চলচ্চিত্রে রূপ দিন।

প্রশ্ন : চলচ্চিত্রের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম একটি অনুষ্ঠানকে আপনি কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?

কিয়ারোস্তামি : অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, চলচ্চিত্র বোঝার জন্য এটি একটি ভালো উপায়। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের ওপর স্নাতক পড়ুয়া কোনো শিক্ষার্থীর জন্য। কেননা এর মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থী একজন চলচ্চিত্রনির্মাতার যাবতীয় কাজের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। এই অনুষ্ঠানটি এজন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, শিক্ষার্থীরা কিছু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পরিচিত হবে। তবে চলচ্চিত্রকে ভালোভাবে বোঝার জন্য নিঃসন্দেহে কোনো শিক্ষার্থীকে একজন নির্মাতার সব চলচ্চিত্রই দেখতে হবে। জানতে হবে কোথা থেকে নির্মাতা শুরু করছেন এবং কতো দূর যেতে পেরেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটা যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য একটি ভালো শিক্ষা। বিশেষ করে যারা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে চায় কিংবা এটাকে ভালোবাসে। ৩০-৪০ বছর ধরে যেসব শিক্ষার্থী চলচ্চিত্র নিয়ে এভাবে পড়াশোনা বা নির্মাতা হওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা ওই সব নির্মাতা ও তাদের চলচ্চিত্রউভয় দিকই বুঝতে পারবেন।

সূত্র : https:/ww/w.youtube.com/watch?v=neYgsuUC8pw; retrieved on 26.07.16

বিউটি মন্ডল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। beautymondolmcjru@gmail.com


তথ্যসূত্র

১. সিনেমা না সম্মোহনী ধ্যান’; বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৯ জুলাই ২০১৬।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন