Magic Lanthon

               

ম্যাজিক লণ্ঠন ডেস্ক

প্রকাশিত ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১২:০০ মিনিট

অন্যকে জানাতে পারেন:

ভবঘুরের সঙ্গে ‘মায়াবী’ শিশুর আত্মিক সম্পর্কের গল্প দ্য কিড

ম্যাজিক লণ্ঠন ডেস্ক


সিনেমার নাম : দ্য কিড

পরিচালক : চার্লস চ্যাপলিন

নির্মাণকাল : ১৯২০ সাল, আমেরিকা

সম্পাদনা : চার্লস চ্যাপলিন

সঙ্গীত পরিচালনা : চার্লস চ্যাপলিন

সিনেমাটোগ্রাফি : আর এইচ টথেরো

প্রযোজনা : চার্লস চ্যাপলিন

ব্যাপ্তি : এক ঘন্টা ৮ মিনিট


অবৈধ সম্পর্কে শিশুটির জন্ম। স্বাভাবিক যা হয়, মা ফেলে যায় শিশুটিকে। পরিত্যক্ত শিশুটিকে খুঁজে পায় এক ভবঘুরে।  প্রাণচাঞ্চল্য, ভালবাসায় বড় হতে থাকে শিশুটি। কিন্তু সমস্যার শুরু তখনই, যখন জানাজানি হয় শিশুটি ওই ভবঘুরের নয়।

তৎক্ষণাৎ সরব হয়ে উঠে রাষ্ট্র। শিশুটির জন্ম ও মায়ের গ্লানি তারা মুছে দিতে চায় তাকে এতিমখানায় পাঠিয়ে। যেখানে নিশ্চিত করা হবে শিশুটির যত্ন-আত্তি! কিন্তু সে এতিমখানায় যেতে নারাজ। এভাবে রাষ্ট্রীয় ইচ্ছা ও মানবিক আবেগের বৈপরীত্যে এগিয়ে চলে গল্প।  চ্যাপলিনের নিজের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় প্রথম কাহিনীচিত্র দ্য কিড।


অভিনয় : কার্ল মিলার, এ্যাডনা পারভিয়ান্স, জ্যাকি কুগান, চার্লস চ্যাপলিন, হেনরি বার্গম্যান, লিটা গ্রে’সহ আরো অনেকে ।


চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন ও তার সিনেমা : পুরো নাম চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন। সবার কাছে চার্লস চ্যাপলিন বা চার্লি চ্যাপলিন নামেই পরিচিত। একই সঙ্গে তিনি অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার। ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল লন্ডনের ওয়ালওর্থে জন্ম। বাবা সিনিয়র চার্লস চ্যাপলিন এবং মা হান্না চ্যাপলিন, মঞ্চ অভিনেত্রী।

অভিনয় করতে গিয়ে হঠাৎ মায়ের কণ্ঠ বশে গেলে তাকে সাহায্য করতেই মঞ্চে প্রথম আগমন চ্যাপলিনের। শৈশব কেটেছে প্রচণ্ড অর্থ কষ্টে। অভাবের তাড়নায় অল্প বয়সেই লন্ডনের মিউজিক হলে তার অভিনয় জীবনের শুরু। ২৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা ‘কিস্টোন’ দিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করে কাজ করেছেন ‘এসানি’, ‘মিউচ্যুয়াল’, ‘ফার্স্ট ন্যাশনাল’ এ। চ্যাপলিন মূলত মুকাভিনয় ও স্ল্যাপস্টিকের জন্য বিখ্যাত।

ছোট-বড় মিলে চ্যাপলিন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন শ’খানেক। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো বিহাইন্ড দ্য স্ক্রিন (১৯১৬), দ্য ইমিগ্র্যান্ট (১৯১৭), সোল্ডার আর্মস (১৯১৮), দ্য আইডিয়াল ক্লাস (১৯২০), এ উইম্যান অফ প্যারিস (১৯২৩), দ্য গোল্ডরাশ (১৯২৫), দ্য সার্কাস (১৯২৮), সিটি লাইটস্ (১৯৩১), মডার্ন টাইমস্ (১৯৩৬), দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০), মঁসিয়ে ভের্দু (১৯৪৭), লাইমলাইট (১৯৫২), দ্য কিং ইন নিউইয়র্ক (১৯৫৭), এ কাউন্টিস ফ্রম হংকং (১৯৬৭) ইত্যাদি।

লাইমলাইট সিনেমার জন্য অস্কার পান চ্যাপলিন। এছাড়া ১৯৭৫ সালে ‘নাইট কমান্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’, ১৯৭০ সালে ‘হলিউড ওয়াক অফ ফেম’, ১৯৪০ সালে এনওয়াইএফসিসি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন