Magic Lanthon

               

এম জিয়াউল হক সরকার

প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০০ মিনিট

অন্যকে জানাতে পারেন:

ভেনিস উৎসব : প্রেম, সৌন্দর্য আর নিসর্গ যেখানে মিশেছিলো সেলুলয়েডে

এম জিয়াউল হক সরকার


অনুভবের মেরু থেকে বিজ্ঞানের মেরু, সর্বত্রই চলচ্চিত্রের যাতায়াত। এছাড়াও শিল্পকলার অন্যান্য মাধ্যমগুলোর সঙ্গে এর বড়ো পার্থক্য হলো- বহু-দর্শকপ্রিয়তা। এ-জন্যই চলচ্চিত্র সহজেই গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। শিল্পকলার নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে চলচ্চিত্রের এই সক্রিয়তাটি বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রদর্শনের ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটিকে সোজা কথায় বলা যায়- প্রদর্শনই চলচ্চিত্রের প্রাণ। কারণ, সেলুলয়েডে ছবি ধরে, তাতে গতি দিয়ে মানুষ যখন স্থিরচিত্রকে জীবন্ত করলো; ঠিক তখনই একটি নির্দিষ্ট সময়ে, একসঙ্গে, একই স্থান থেকে অনেক মানুষের কাছে এটি পৌঁছানোর জন্য একটি ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়লো। তবে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় আলোর প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সেটি (প্রদর্শন) করতে কালক্ষেপণ করেননি। তাই চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সঙ্গে প্রদর্শন ও প্রেক্ষাগৃহের ইতিহাসও যে-অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, তা অকপটে স্বীকার করতে হয়।

সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দৃশ্যায়িত এ-মাধ্যমটি মানুষের জীবন-যাপন থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও সংস্কৃতি আদান-প্রদানের এক অনন্য সত্তা সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে চলচ্চিত্র হয়ে উঠলো-এক সমাজ থেকে আরেক সমাজের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ বা পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্কের মাত্রা সুদৃঢ়, বিনিময় করার মাধ্যম। তখন স্বাভাবিকভাবেই চলচ্চিত্রনির্মাতা, অভিনেতা, চলচ্চিত্রপ্রেমী বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষদের মধ্যে জানাশোনা বা মিলিত হওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলো। হয়তো সে-কারণেই চলচ্চিত্র বা চলচ্চিত্র সম্পর্কিত মানুষদের মিলনমেলা অর্থাৎ চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু কি না, কে জানে?

তবে এ-কথা ঠিক, উৎসবগুলো চলচ্চিত্রকে তার নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে গিয়ে বিশ্ববাসীর নজরে আনার এক অভাবনীয় ব্যবস্থা হিসেবে আবির্ভূত হলো। নতুন এই চিন্তা লুফে নিলো সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষ। দেশে দেশে শুরু হলো চলচ্চিত্র উৎসব। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এ-চলচ্চিত্র উৎসবের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। চোখ ধাঁধানো এ-সব আয়োজনে পৃথিবী বিখ্যাত চলচ্চিত্র তো থাকেই, সঙ্গে হাজির হন প্রখ্যাত নির্মাতা, প্রযোজক, কলাকুশলী, অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা। কোন্ দেশ তাদের চলচ্চিত্র উৎসবটি কতো বড়ো পরিসরে আয়োজন করলো, এ-নিয়ে বিশ্বব্যাপী শুরু হলো আলোচনা-সমালোচনা। প্রতিটি উৎসব আয়োজিত হতে থাকলো স্বতন্ত্রভাবে, স্বতন্ত্র ঢঙে, স্বতন্ত্র স্থানে।

 

মেঘ এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়

চলচ্চিত্রের প্রথম বাণিজ্যিক প্রদর্শন হয়েছিলো ফ্রান্সের প্যারিসে। আর ইতালির ভেনিসে হয়েছিলো প্রথম চলচ্চিত্র উৎসব। দুটির শুরু ইউরোপে হলেও উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলো বিরাট ফারাক। চলচ্চিত্রের আবিষ্কারক ও প্রদর্শক লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় বাবার ফটোগ্রাফি স্টুডিওতে কাজ করতেন। চলচ্চিত্রের ২৪ ফ্রেম না হলেও এক ফ্রেমের আলোকচিত্রের সঙ্গে আগে থেকেই তাদের একরকমের সম্পৃক্ততা ছিলো। অন্যদিকে, প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা গিইউসপি ভলপিই (Giuseppe Volpi) ছিলেন ইতালিয় রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। ভেনিসে ১৮৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর জন্ম নেওয়া এই মানুষটির ইতালিয় রাজনীতিতে অবদান ছিলো চোখে পড়ার মতো। ১৯১১-১২ সালে তিনি ইতালির হয়ে কাজ করেছিলেন ইতালি-তুরস্ক যুদ্ধ বন্ধে; ভূমিকা ছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধে, ছিলেন ইতালির অর্থমন্ত্রীও (১৯২৫-১৯২৮)। যুদ্ধ, অর্থ নিয়ে কাজ করা গিইউসপি ঠিক কী কারণে চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহী হলেন তা একটু রহস্যজনকই।

হয়তো এ-সব কিছুর বাইরে মানুষটির মনের কোণে নিভৃতে জায়গা করে নিয়েছিলো চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা। সে-জায়গা থেকেই ১৯৩২ সালে মোস্ট্রা ইন্টানেজিওন্যাল ডিআর্টি সিনেমাটোগ্রাফিকা ডেলা বিয়েনিয়াল ডি ভেনিজিয়া(Mostra Internazionale d'Arte Cinematografica della Biennale di Venezia) নামে আয়োজিত হয়েছিলো বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবের। মূলত ভেনিস লা বিয়েনিয়াল (Venice Biennale) নামে একটি শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান উৎসবটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিলো।  ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার বছরই ভেনিস বিয়েনিয়ালে আন্তর্জাতিক চিত্রকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের পথচলা শুরু করেছিলো। ১৯৩০ এর দশকে এই প্রতিষ্ঠানটি চিত্রকলার পাশাপাশি সঙ্গীত, নাটক ও চলচ্চিত্র উৎসবে আগ্রহী হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৩২ সালে হলো চলচ্চিত্রের এই আয়োজন। পরে ১৯৮০ সালে এসে ভেনিস বিয়েনিয়ালে আয়োজন করে প্রথম আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্রদর্শনী, আর ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ যোগ হয় আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব।

১৯৩২ সালের ৬ আগস্ট লিডো-এর হোটেল এক্সেলসিয়র-এর গ্যালারিতে (Terraces of Hotel Excelsior on the Venice Lido) শুরু হয়েছিলো মোস্ট্রা ইন্টানেজিওন্যাল ডিআর্টি সিনেমাটোগ্রাফিকা ডেলা বিয়েনিয়াল ডি ভেনিজিয়া উৎসবের। চলে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। টানা প্রায় ১৫ দিনের এই উৎসবে নামে দর্শকের ঢল। ফলে প্রথম উৎসবেই বাজিমাত। সেই সময় ২৫ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছিলো উৎসবে। উৎসবে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র ছিলো রোউবেন মামোওলিয়ান (Rouben mamoulian) পরিচালিত ড. জ্যাকেল ও মি. হাইড। এছাড়া ফ্রাঙ্ক কাপরা-এর (Frank Capra) ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট, জেমস হোয়েল-এর (James Whale) ফ্রাঙ্কেনস্টেইন প্রদর্শিত হয়েছিলো। মজার ব্যাপার হলো, তখন কিন্তু উৎসবে পুরস্কারের কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। শুধু ভোটের মাধ্যমে তখন বাছাই করা হতো, কোনটি ভালো চলচ্চিত্র।

এক সময়ের মোস্ট্রা ইন্টানেজিওন্যাল ডিআর্টি সিনেমাটোগ্রাফিকা ডেলা বিয়েনিয়াল ডি ভেনিজিয়া পরবর্তীকালে সারা বিশ্বে পরিচিতি পায় ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নামে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে উদযাপিত হয় এই উৎসব। উৎসবে শহরজুড়ে থাকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। তবে মূল আকর্ষণ থাকে ভেনিসের লিডো দ্বীপ (Island of the Lido) কে ঘিরে। এখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষেরা জড়ো হন। আর ভেনিস পরিণত হয় তারার হাটে। সেখানে চলচ্চিত্রের ঋত্বিকরা আদান-প্রদান করেন পেশাদারিত্বের নানান অভিজ্ঞতা, গড়ে ওঠে নেটওয়ার্কিং। আলোচনা চলে চলচ্চিত্রের নানা ফর্ম নিয়ে। এর বাইরে মূল যে-কাজটা হয়, সেটা হলো চলচ্চিত্রের উন্নতি ও সহযোগিতার লক্ষ্যে কাজ করে- এমন দেশগুলোর মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা।

 

ঐ নূতনের কেতন ওড়ে

শুরুর দিকে উৎসবে ফ্যাসিবাদী চলচ্চিত্রগুলো বেশ প্রাধান্য পেয়েছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে উৎসবের মোড় বদলে যায়। তখন মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন শুরু হতে থাকে। সে-সময় ইতালির রবার্তো রোসেলিনি, ভিত্তেরিয়ো ডি সিকার হাত ধরে নব্যবাস্তববাদী ধারা নামে যে-আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, তার বাতাস লাগে ভেনিসে। ১৯৫২ সালে এসে প্রথম গোল্ডেন লায়ন (Leone d'Oro) নামে ভেনিসে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। লিডো দ্বীপের নামের সঙ্গে মিল রেখে পুরস্কারের নাম লিয়ন ডিওরো করা হয়েছিলো। এটিই প্রতিযোগিতা বিভাগের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার, যা সেরা চলচ্চিত্রের জন্য দেওয়া হয়। সেরা পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তিকে দেওয়া হয় সিলভার লায়ন (Silver Lion) এবং সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীর পাশাপাশি পার্শ্ব-অভিনয়শিল্পীদের দেওয়া হয় কোপ্পা ভলপি (Coppa Volpi) পুরস্কার। সেরা সিনেমাটোগ্রাফার, কম্পোজার ও চিত্রনাট্যকারদের জন্যও রয়েছে গোল্ডেন অসেলা (Golden Osella) নামের দুটি পুরস্কার। এছাড়া জুরি বোর্ড প্রতি বছর উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্র, পরিচালক,  ও অভিনেতাদের মধ্যে থেকে দু-একটিকে বিশেষ জুরি পুরস্কার (বিশেষ লায়ন) দিয়ে থাকে।

ভেনিস উৎসবে ভেনিজিয়া (Venezia), আউট অব কমপিটিশন (Out of Competition), ওরিজোনটি (Orizzonti) ও কর্টো করটিসিমো (Corto Cortissimo) নামে চারটি বিভাগে চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ভেনিজিয়া বিভাগে অংশ নেয় কাহিনীচিত্র, এখানে জমা পড়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করা ২০টি কাহিনীচিত্রের মধ্যে এতে মূল লড়াই হয়। আউট অব কমপিটিশন-এ বছরের biggest চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়। নতুন ধরনের চলচ্চিত্রের জন্য রয়েছে ওরিজোনটি বিভাগ। এই বিভাগে প্রথাগত কাঠামোর বাইরে প্রদর্শিত হয় নতুন ধারার চলচ্চিত্রগুলো। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যর চলচ্চিত্রের জন্য রয়েছে কর্টো করটিসিমো বিভাগ।

উৎসবে কন্ট্রক্যাম্পে ইতালিয়ানো (Controcampo Italiano) নামে রয়েছে একটি বিশেষ বিভাগ। যেখানে  কেবল ইতালিতে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো প্রতিযোগিতা করে। জমা পড়া চলচ্চিত্র থেকে সাতটি কাহিনীচিত্র, সাতটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং সাতটি প্রামাণ্যচিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করা হয়। ২১টি চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটি বিভাগ থেকে সাতটির মধ্যে একটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। এর পাশাপাশি উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইক, ভেনিস ডে উদ্যাপিত হয়; সঙ্গে চলচ্চিত্রের বিকিকিনির আয়োজনতো আছেই।

 

মেনেছি গো, হার মেনেছি

ভেনিস উৎসবে ঐতিহ্যগতভাবে সাধারণত হলিউডের বাইরের চলচ্চিত্রের পৃষ্ঠপোষকতা করা হতো, কিন্তু সম্প্রতি এই প্রবণতার পরিবর্তন হয়েছে। হলিউডের মানুষদের সঙ্গে এখন ভেনিসের সম্পর্ক বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ। এ-নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক কারণেই ভেনিস উৎসব এখন আমেরিকান চলচ্চিত্রের লাউঞ্জপ্যাড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ-নিয়ে উল্টো কথা বলেন ইতালিয় চলচ্চিত্রনির্মাতা ও ভেনিস উৎসবের সাবেক আর্টিস্টিক পরিচালক মার্কো ম্যুলার। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আমেরিকার যে অবস্থান, তার সম্মানার্থেই হলিউডের চলচ্চিত্রকে উৎসবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সমালোচকদের উত্তরে তিনি বলেন, আধুনিক চলচ্চিত্র যদি হলিউডের কাঠামো অনুসরণ করে, এগুলোই যদি আধুনিক চলচ্চিত্র হয়, তাহলে এটা গ্রহণ করতে আমাদের অপারগতা কোথায়? উৎসব আয়োজক বিয়েনিয়াল প্রেসিডেন্ট ডেভিড ক্রফ (David Croff) এর ব্যাখ্যা দেন এভাবে, এ-উৎসবের একটি সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য আছে। আমরা তো এর বহমান ধারা থেকে দূরে সরে যেতে পারি না। মনে রাখতে হবে চলচ্চিত্রের একটা জৌলুস আছে, উৎসবের জন্য যা খুবই জরুরি। তিনি আরও বলেন, আমরা মার্কোর নীতিকেও প্রাধান্য দিই। কারণ, চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য হলিউডকে স্বাগত জানানোর প্রয়োজন আছে।

বিশ্বের প্রাচীনতম এ-চলচ্চিত্র উৎসবটি ৮০-তে পা রেখেছে ২০১২ সালে। তবে এতোদিন ধরে টিকে থাকা ভেনিস উৎসব এখন অনেকখানিই তার জৌলুস হারাতে বসেছে। দীর্ঘদিন ভেনিস উৎসবের আর্টিস্টিক পরিচালকের দায়িত্বে থাকা মার্কো ম্যুলার সম্প্রতি অব্যাহতি নেওয়ায়, এবারে দায়িত্ব নিয়েছেন আলবার্তো বারবেরা। দায়িত্বের পালাবদল এবং প্রায় একই সময়ে টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভেনিস উৎসবে হলিউডের অনেক তারকা উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিভিন্ন সময় বৈশ্বিক ও দেশিয় নানা সঙ্কটে বেশ কয়েকবার আয়োজন স্থগিত ছিলো ভেনিস উৎসবের। তাই ৮০ বছরে পা দিলেও এবার (২০১২) ছিলো ভেনিস উৎসবের ৬৯তম আসর। অনেক আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে কিম-কি-দুক এর পিয়েতো শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে পেয়েছে উৎসবের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গোল্ডেন লায়ন

 

লেখক : এম জিয়াউল হক সরকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফ্রিল্যান্স লেখালেখি করেন।

ziamcj@gmail.com

 

পাঠ সহায়িকা 

সোহেল অটল; চলচ্চিত্র উৎসব দেশে দেশে; দৈনিক জনকণ্ঠ, ২০ জানুয়ারি, ২০১০।

http://en.wikipedia.org/wiki/Venice_International_Film_Festival

http://www.labiennale.org/it/cinema/index.html

http://en.wikipedia.org/wiki/Giuseppe_Volpi

 

বি. দ্র. এ প্রবন্ধটি ২০১৩ সালের জানুয়ারির ম্যাজিক লণ্ঠনের চতুর্থ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশ করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন